আর কিছুক্ষণ পরেই অভয়াকাণ্ডের শুনানি সুপ্রীপ কোর্টে। শুনানি বলতে আপনারা জানেন চার্জশিট গঠন করে মামলাটি এখনও শুরুই হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট সুয়োমোটো বা স্বতঃপ্রণদিতভাবে সিবিআই যে তদন্ত করছে, সেটি তদারকির দায়িত্ব নিয়েছে। মাহামান্য প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ দেখছে বিষয়টি। একটা এমন অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই থেকে সুপ্রীম কোর্ট কাউকেই যেন ভরসা করতে পারছে না মানুষ। এমনকী বিচারের দাবিতে পথে নামায় যারা অগ্রণী সেই ডাক্তারদের অভিসন্ধি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কিছু বলা।
এখন সব টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেল আপনাদের আপডেট দিচ্ছে। আর একটু পরেই তো সব আপডেটের খবর আপনারা পেয়েই যাবেন, সম্ভবত হিয়ারিংএর লাইভ স্ট্রিমিং হবে এবারেও। আমি বরং একটা রিক্যাপ দিই। তাতে যা শুনতে চলেছেন তার প্রেক্ষিত বা কনটেকস্ট্টা পরিষ্কার হবে। খুব সংক্ষেপে ১৬টি পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। দেখুন আপনদের মাথাতেও এগুলো স্ট্রাইক করেছে কিনা।
১॥ যদিও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষত মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ragging সুবিদিত, তবু হুমকি সংস্কৃতি বা Threat Cultre-এর জন্ম 2021-এ এবং জনক সন্দীপ ঘোষ। তার আগে কোনও মেয়েকে কুপ্রস্তাবের সম্মুখীন হতে হয়নি, রাজি না হলে হুমকিও শুনতে হয়নি বা ফাইনালি সাফার করতে তো হয়ইনি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্ট ক্রাউচিং হত না কেরিয়ারে বারোটা বাজানোর শাসানি দিয়ে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক প্রফেসর যে রিসার্চের টোপ দিয়ে অন্যথায় পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন একাধিক ছাত্রীকে শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাধ্য করেছিল, সেটা হুমকি সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। মেয়েটিকে ছিছিক্কার করেই আমরা দায়িত্ব সেরে ফেলেছি। রাস্তার প্রেমিকরা একটি মেয়েকে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না পেলে শাসাত না। তাতেও রাজি না হলে অ্যসিড অ্যাটাকও করেনি কেউ আগে। সবই শুরু হয়েছে সন্দীপ ঘোষ আরজিকরের প্রিন্সিপাল হওয়ার পর।
২॥ আন্দোলন করছে যখন তখন ধরে নিতে হবে আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তাররা কেউ কখনও ragging বা ইভ টিজিং করেননি। লক্ষ্যণীয় যাদবপুরে স্বপ্নদীপ সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ ও হত্যাকাণ্ড যারা চাপা দিতে চেয়েছিল, তাদেরও একাংশ এখন রিফর্মড হয়ে উই ডিমান্ড জাস্টিস বলছে উইথ আজাদি কা নারা! কত আর বলি?
৩॥ কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের মধ্যেই সহকর্মীকে খুন করা হল, কিন্তু প্রতিবাদী ডাক্তারদের কেউ কিছু টের পাননি। অথচ এক বছর ধরে মে ডাক্তার মেয়েটিকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে। মোটরবাইকে করে ধাক্কা দেওয়া, ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি, বেশি বেশি নাইট ডিউটি দেওয়া ইত্যাদি শারীর পীড়নের পাশাপাশি তার গাড়ি ভেঙে দেওয়া, বেলেল্লে পার্টিতে আসতে হুকুম করা, তার গবেষণাপত্র কেড়ে নেওয়া ইত্যাদি মানসিক নির্যাতন চলছিল নাগাড়ে, যার জেরে তিনি বাড়িতে জানান আরজিকর কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে দিতে চান। তখন তার পাশে দাঁড়ালে হয়তো এই নির্মম হত্যাকাণ্ড হতই না। কিন্তু আমরা জানি সময় থাকতে পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে লাশ নিয়ে প্রতিবাদ করা বেশি বিচক্ষণতা, অনেক বেশি মাইলেজ দেয়।
৪॥ ডঃ কন্যার গবেষণাপত্র কেড়ে নিয়ে আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া হল। ব্যাপারটা যে বন্ধুদের বলেও ছিলেন মৃতা, সে কথা সহকর্মীদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, কিন্তু কাকে দেওয়া হয়েছিল তার নাম সবাই ভুলে গেছে। সিবিআই হয়তো করেছে, তবে আমরা কবে জানতে পারব সেই নাম জানা নেই। আমি অনুরোধ করব তাঁর থিসিস পেপারটি যাতে যোগ্য মর্যাদায় প্রকাশ পায় কোনও সায়েন্স জার্নালে।
https://www.youtube.com/watch?v=89di02KV20I&t=12s
৫॥ প্রমাণ লোপাট, বিকৃতিকরণ ও পরিবর্তন এগুলো শাস্তিযোগ্য সিরিয়াস অপরাধ। কিন্তু আরজিকর কাণ্ডে সবকটাই সুচারুরূপে করা হয়েছে প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও প্রমাণাভাবে প্রমাণ নষ্টকারীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। যিনি হাতেকলমে কাজটা করেছেন শুধু তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, কিন্তু যিনি মিডিয়ার সামনে এসে বিচার হওয়ার আগে চার্জশিট গঠনের আগেই একজনের সিভিক ভলান্কেটিয়ার পরিচয়টি গোপন করে তাকে criminal of highest order বলে দাগিয়ে দিলেন, সরেজমিনে হাজির থেকে ৯ আগস্ট যা ঘটেছিল মৃতদেহ আবিষ্কৃত হওয়ার পর, তার সবটুকু তদারকি করে ধর্ষক-খুনি ধরার প্রাথমিক কৃতিত্বও নিয়ে তড়িঘড়ি সব সমাধান ঘোষণা করতে চাইলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ সিবিআই পায়নি।
৬॥ কলকাতা পুলিশের তৎকালীন সর্বোচ্চ কর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখা সত্ত্বেও তাকে জেরা না করে তার আজ্ঞাবাহী টালা থানার ওসি ও এসআই-কে গ্রেফতার তথা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইএস আইপিএস ক্যাডারে চাকরিতে ঢুকলে কিছু ইমিউনিটি এনজয় করা যায়। যেমন ইমিউনিটি থাকলে রোগজীবাণু কাবু করতে পারে না সহজে। তেমনি প্রশাসনিক ও আইনি ইউমিউনিটি থাকলে তার বিরুদ্ধে চট করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
৭॥ স্বয়ং পুলিশ মন্ত্রী মিডিয়ার সামনে নিজে সক্রিয় থেকে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেছেন একথা সগর্বে জানানোর পরেও প্রমাণ নষ্টকারীরূপে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে শনাক্ত করতে অক্ষম। স্বাভাবিক। পুলিশ কমিশনারের যখন এত ইমিউনিটি তখন পুলিশমন্ত্রী যিনি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কত ইমিউনিটি থাকতে পারে, বোঝাই যায়। কারা বানায় এইসব ভ্যাকসিন জানি না। তবে এর প্রয়োগ বেশ গোলমেলে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেলে যাওয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করা যাবে না।
৮॥ নির্ভয়া কাণ্ডের পর Indian Penal Code ধর্ষণকে redefine করে। বর্তমানে ন্যায়সংহিতাতেও আছে। তাতে proper as per norms penetration ছাড়াও আরও একাধিক নোংরামো ও যৌনাঙ্গে আঘাতকেও ধর্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু ভিক্টিমের যৌনাঙ্গে আঘাত ও রক্তাক্ত ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থা ধর্ষণ হয়েছিল কিনা বুঝতে পারছে না। ধরে নিচ্ছি private part-এ মাথার ক্লাচ ক্লিপ মেলার কথা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই। কিন্তু যৌনাঙ্গ ও মুখবিবর-সহ শরীরে একাধিক রক্তাক্ত ক্ষতের কথা আছে। তারপরেও যথাস্থানে কার ধাতু পাওয়া গেছে তাই নিয়েই মিডিয়ায় গরম গরম গবেষণা চলছে। একটি মেয়েকে কামড়ে খামচে খুঁচিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দুমড়েমুচড়ে দেওয়ার পরেও ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত হতে পারছে না। জানি না সিবিআই ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারের মোবাইলে তোলা ছবি পাওয়ার পরেও ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাবে কিনা।
৯॥ একটা রেল দুর্ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুলিশ প্রশাসনে সর্বৈব ব্যর্থতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা যায় না বরং তাঁরই সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হয়।
১০॥ ২০১৩ ইস্তক একের পর এক ভয়াবহ ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে শরীর থাকলেই রোগ হবে কিংবা প্রতিবাদী মানেই রাজনৈতিক বিরোধী ইত্যাদি মন্তব্য করা এবং অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে অতি সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার ওপর ভরসা রেখেই "We want justice", "We demand justice" বলে চেঁচিয়ে রাস্তা মঞ্চ ও মিডিয়া কাঁপাতে হয়।
১১॥ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট ও বিভিন্ন কমিটি গঠিত হলেই জাস্টিস পাওয়া হয়ে যাবে। রোগীকল্যাণ সমিতির সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই তিলোত্তমা হত্যায় প্রথম অভিযুক্ত হলেও জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করতে হবে। সেইসব কমিটিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা থাকলে অসুবিধা নেই। এমনকি চেস্ট মেডিসিন বিভাগের যে রুমটি ভাঙা হয়েছে সেটি ভাঙার সম্মতিপত্রে যে দুজন জুনিয়ার ডাক্তারের সাক্ষরও আছে, তারা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরাও আন্দোলনের স্রোতে ডুব সাঁতার দিলে হয়তো আপত্তি নেই।
১২॥ চরম নৈরাজ্য সত্ত্বেও রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির দাবি করছেন না প্রতিবাদের সংগঠকরা। কারণ তাতে একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার আশঙ্কা আছে। যারা এই দাবি তুলছেন তারা নাকি আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দিতে চাইছে। বরং কাশ্মীরী বিচ্ছন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের "আজাদি"র নারা অনেক মানানসই। কী থেকে বিপ্লবীরা আজাদি চাইছেন? অপরাধ থেকে, পিতৃতন্ত্র থেকে মুক্তি চাইছেন কি? নাকি ভারত সরকার থেকে আজাদি চাইছেন ? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অপশাসন থেকে যে চাইছেন না সেটা তো জলবৎ পরিষ্কার।
১৩॥ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কারা, সেটাও বেশ অভিনব প্রশ্নচিহ্নে। অপরাধীদের নীল পেড়ে সাদা আঁচল দিয়ে আগলে রাখা স্বাস্থ্য-পুলিশ-মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক চরিত্র নন, বামপন্থী দলের নেতারা রাজনৈতিক চরিত্র নন, শুধু বিজেপি নেতানেত্রীরা রাজনীতির লোক। স্বাস্থ্য-পুলিশ-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হল আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য চরম রাজনৈতিক অপচেষ্টা।
১৪॥ মৃতা ডাক্তার কন্যার উদ্দেশ্যে মহালয়ায় তর্পণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে কিংবা রাজ্যপালের কাছে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে সাজা দেওয়ার দাবি করলে সেইসব ডাক্তারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কিন্তু জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি অনুযায়ী গঠিত কমিটিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা থাকলে অসুবিধা নেই, আছে কিনা খতিয়ে দেখারও দরকার নেই। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ঘর তড়িঘড়ি ভাঙার কাজে সম্মতি জানানো জুনিয়ার ডাক্তারাও স্বাগত। তাই হয়তো বিপ্লবীদের ৭ দফা দাবি সনদে আর অভয়ার বিচার চাওয়ার প্রসঙ্গটাই নেই।
১৫॥ পুজোর সময় কলকাতার ধর্মতলা অঞ্চলে 144 জারি করে 5 জনের বেশি সমাবেশ নিষিদ্ধ করার মতো অবাস্তব অসম্ভব নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিবাদের মূল সংগঠকদের এই নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। তারা তো পুজো করারই বিপক্ষে। শাঁখ বাজানোতেও অ্যালার্জি। তাই নীলসাদা হাওয়াই চটির ফরমান তাদের সুপ্ত বাসনাকেই তো পূর্ণতা দিল। সম্ভবত "উৎসবে ফিরুন" বলে পুজোর প্রতি মানুষের চরম বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করা ছিল শাসিকার আসল অভিপ্রায়। বাংলাদেশ মডেল আর কি। খবর তো নিশ্চয়ই পাচ্ছেন সন্দেশখালি, গাজোল, বীরভূম ইত্যাদি স্থানে মূর্তিভাঙা, শীতলকুচিতে গোরুর মুণ্ড রাখা, মূর্তিপূজারীদের ঘর জ্বালানো, বালিকা অপহরণের। এগুলো কিন্তু বাংলাদেশ নয়, এই পশ্চিমবঙ্গেরই ছবি।
১৬॥ আর শেষে একটি শ্বাস্বত সত্য তো স্বীকার করতেই হয়। হিংস্র পুরুষ নয়, নারকীয় পুরুষালি হিংস্রতার বলি যে নারী, কলঙ্ক তারই। এমন social stigma যে তার নামটা চিরতরে হারিয়ে যায়, যেখানে অপরাধীকে প্রকাশ্যে আড়াল করা প্রশাসনিক প্রধানের নাম বারবার মাননীয়ারূপে উল্লেখ করতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতও মনে করেন তার নামোচ্চারণ ও ছবি প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ, যেখানে ঘৃণ্য অপরাধীরাও নানা আইনি ফাঁকফোকরে বেকসুর খালাস পেতে পারে। আর এই সিস্টেমের কাছেই মানুষ নারীনির্যাতনের বিচার চাইছে।
যদি প্যান্ডেলের জাঁকজমক আর আলো উৎসব হয় তা হোক না; সপরিবারে মা নিজে কী উৎসবে সামিল হবে? মা'ই জানেন! আমরা কিন্তু পুষ্পাঞ্জলীতে বা অঞ্জলীতে অসুর সত্তার সমূলে উৎপাটন কামনা করব! সেটা যদি উৎসব হয়, আসুন না - সকলে সেই উৎসবে সামিল হই; কায়মনোবাক্যে মা'র কাছে প্রার্থনা করি, শুধু ওই হতভাগা মেয়ে টা নয়, সব নির্যাতিতা ন্যায় বিচার পাক।
ReplyDelete