যোগসূত্র ।। দর্পণা রায়

 

যোগসূত্র

দর্পণা রায়

 


ব্যাপকতর নৃশংসতা আড়াল করতেই কি নৃশংতর কাণ্ড বাধিয়ে ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে? আসলে এইভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাবলীর মধ্যে একটা মারাত্মক আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছি।

৪ঠা জুন থেকে ৩রা আগস্ট জুড়ে চলা বাংলাদেশের কোটা বিরোধী গণতন্ত্রপন্থী ছাত্র আন্দোলনের নামে চলা অরাজকতা ও তার ক্রমবিবর্তনে মৌলবাদী সন্ত্রাসের জেরে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তাই নিয়ে নির্বিবাদ মানুষ ও একচোখো মিডিয়াও আর প্রতিক্রিয়া গোপন রাখছিল না। শাসক হিসাবে হাসিনা ও তাঁর আওয়ামি লীগ সরকারের ওপর ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক নয়, যার হিংস্র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আওয়ামি লীগ নেতা ও পুলিসের নিষ্ঠুর সংহারে। কিন্তু বাংলাদেশের নতুন করে ঘোষিত স্বাধীনতার সঙ্গে ব্যাপক হারে হিন্দুদের খুন ধর্ষণের কী সম্পর্ক, সেটা যুক্তি দিয়ে বোঝা না গেলেও সেটাই ঘটছে যা এখনও থামেনি; বড়োজোর সাময়িকভাবে সামান্য কিছু বিক্ষিপ্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরের ঘটনাক্রমেও ছবিটা বদলায়নি।

নিরন্তর ঘটে চলা হিন্দু নির্মূলীকরণ যার অঙ্গ হল ধর্ষণ, হত্যা ও ধর্মান্তকরণ নিয়ে এপার বাংলার হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কোনও বিশিষ্টজন, কোনও মিডিয়া, কোনও নাগরিক সমাজ আজ পর্যন্ত সরব হয়নি। এমনকী ২০২১-এ শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় যে ধ্বংসলীলা চলল, তার পরিপ্রেক্ষিতেও কিছু চিন্তা ব্যক্তিগত আলোচনার পরিসরে মৃদুভাবে ব্যক্ত হলেও মিডিয়া নিদ্রিত ছিল, সাধারণ মানুষও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসমক্ষে বিশেষ কিছু বলেনি ছদ্ম প্রোফাইল থেকে কিছু তথাকথিত হিন্দুত্ববাদী ছাড়া। কিন্তু ২০২৪-এ জুন-জুলাই ধরে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে চালানো নারকীয়তা অরাজকতা এবং তারপর আগস্ট মাসে অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে সামনে রেখে বাংলাদেশের শাসনভার সরাসরি মৌলবাদী নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া – এই বিষয়গুলো নিয়ে কিন্তু এই বাংলাতেও খানিক শোরগোল পড়ে যায়।

ঠিক তখনই ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা এবং তাই নিয়ে আন্দোলনও হল এমন তুমুল যেটা অবশ্যই সঙ্গত, যে লাগোয়া দেশে লাগা আগুন যা আমাদের দেশ অন্তত আমাদের রাজ্যটিকেও ঝলসাতে আসছে, তার দিকে মনোযোগ দিতে ভুলেই গেলাম। নতুবা আরজিকর কলেজ হাসপাতালে টাকার জন্য চাপ ও অন্যান্য অনৈতিক কাজ ফাঁস হওয়া রুখতে তরুণী ডাক্তারকে অন্যত্রও মারিয়ে সরিয়ে দেওয়া যেত; এতখানি অত্যাচার করে হাসপাতালের মধ্যেই বিকৃত দেহ ফেলে রেখে সমস্ত স্টাফেদের দেখানো হত না। নৃশংসতার মাত্রা দানবগুলোর ব্যক্তিগত উদ্ভাবন ও প্রবৃত্তির ব্যাপার হলেও পরিকল্পনাটা প্রাতিষ্ঠানিক, যার উদ্দেশ্যে অবাধ্য নারীর ওপর বদলা নেওয়ার পাশাপাশি অন্যায়ের কাছে নতিস্বীকার না করলে কী হয় সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া। তাই লাশ ফেলে রাখা হল হাসপাতালের সকল কর্মীকে দেখানোর জন্য। অথচ একই সঙ্গে হত্যার প্রমাণ লোপাটে অভাবনীয় তৎপরতা দেখা গেল যাতে ‘হুমকি সিন্ডিকেট’ পরিপুষ্ট হলেও আইনি তদন্ত হলে ঘাতক-ধর্ষক ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায়।

নিজেদের রাজ্যে এই বেনজির নৃশংসতা সামনে আসাতে আমরা স্বভাবতই সেটাতেই ডুবে গেলাম বাংলাদেশের কথা ভুলে। মানে সিবিআই বা জাতীয় এজেন্সির তদন্তের জন্য সবরকম সূত্র মুছে দিয়ে অপরাধীদের আড়ালও করা হল, আবার রাজ্যের মানুষকে একটা নৃশংস ঘটনার অভিঘাতে পর্যুদস্ত করে দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংস্রতা ও পশ্চিমবঙ্গেও বিশেষ বিশেষ এলাকায় লাগা সাম্প্রদায়িক আঁচের দিক থেকে মানুষের মুখ পুরোপুরি ঘুরিয়েও দেওয়া গেল।

দুর্নীতি, কর্মহীনতা ইত্যাদির প্রশ্নে প্রতিদ্বন্দী হলেও এই সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার প্রশ্নে শুধু পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসকদলের নয়, তার পূর্ববর্তী শাসকদলের মোটামুটি একই অবস্থান। তফাত শুধু এইটুকুই যে, বামফ্রন্ট সরকার যেটা একটা আড়াল রেখে কৌশলে করল, তৃণমূল সরকার সেটাই করছে উলঙ্গ হয়ে। তাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘আজ়াদি’র স্লোগান। তাদের ফিরে যেতে বলা হয় না; কিন্তু জাতীয়তাবাদী দলের কোনও নেতা পাশে দাঁড়াতে গেলে তুমুল ‘গো ব্যাক’ রব ওঠে। সম্প্রদায়বিশেষের প্রতি এই সমমনস্কতার জন্যই কি জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেনি? কারণ তারা জানে দিদির রাজনীতির জন্য সাম্প্রদায়িক অবস্থান নয়, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রসারণের জন্যই রাজনীতি করা।

প্রসঙ্গত, "আজাদি" যার অর্থ স্বাধীনতা, তা নিয়ে তো প্রশ্ন নেই। আর সেটা "হকসে লেঙ্গে" বলার মধ্যেও সমস্যা নেই। কিন্তু এই স্লোগানটি ভারতের কোন অঙ্গরাজ্যে উঠেছে, কেন উঠেছে এবং তাদের কার্যাবলী কী ভয়ানক, সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। যেমন বাংলার জয় আমি চাইতেই পারি, কিন্তু "জয় বাংলা" কোন রাষ্ট্রের স্লোগান ও তার চরিত্র অতীত থেকে বর্তমানে কী, তা মোটের ওপর কারও অবিদিত নয়। তাই আজ়াদী ও জয় বাংলা দুটো নারাই আমাদের দেশ ও রাজ্যের কাছে যথেষ্ঠ বিপজ্জনক প্রতিপন্ন হতে পারে এবং হচ্ছেও। আর এমন সমাপতন যে ঠিক এই সময় বাংলাদেশের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ্‌ বাংলাদেশ’-এর সন্ত্রাসবাদী নেতা জসিমুদ্দীন তার কষ্টকল্পিত ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অসার রণহুংকার ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্ব ভারতেরও ভারত থেকে স্বাধীনতা অর্থাৎ বিযুক্তি চেয়েছে সেই জঙ্গী।

বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলি জুড়ে ইসলামিক ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন তো বহুদিনের। বাংলাদেশ অভু্যুত্থান নিয়ে শোরগোলের মাঝেই বিশ্বকে হতবাক করে দেওয়া আরজিকর কাণ্ড বাধা, তার জেরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করাল রূপ বেরিয়ে আসার মাঝখানেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাধীনতা ঘোষণার আবাহন -- এই যে সবই কি কাকতালীয়? লক্ষ্যণীয় বাংলাদেশের ইসলামিক কট্টরপন্ধী সরকার ও তার প্রধানমন্ত্রী ইউনুস যিনি হাওয়ামি লীগের আমলে কারাবন্দী জসিমুদ্দিনকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে, তারা যে এই জঙ্গী উন্মাদকে কিছু বলবে না, সতর্কও করবে না, সেটা প্রত্যাশিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর নাম করে এই ভারতবিরোধী হুংকার নিয়ে একবারও মুখ খোলেননি। মানে তাঁর কি কথাগুলোতে তাঁর সম্মতি আছে? তাঁর মনেও কি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাশা নাকি ইসলামিক বাংলাদেশের আগুনে রাজ্যবাসীকে ঝলসে মারাই তাঁর অভিপ্রায়? সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড হয়ে অভয়া মামলাসহ শুনানিগুনো অদৃশ্য হয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিজ্ঞাপন কি তেমন কিছুই ইঙ্গিত করছে? 

তবে আরজি কর কলেজ হাসপাতালে ঘটা ধর্ষণ-খুন নিয়ে কিছুদিনের হৈচৈ আশা করলেও সেটা যে এত ব্যাপক আন্দোলনের  রূপ নেবে, তা হয়তো মাননীয়া আশঙ্কা করেননি। তাই আন্দোলন দমনে উঠেপড়ে লেগেছেন সর্বশক্তি দিয়ে। তবে ডাক্তারদের লড়াইয়ের প্রতি সর্বান্তকরণে সমর্থন ও শ্রদ্ধা পোষণ করেও কেন জানি মনে হচ্ছে, লাইভ স্ট্রিমিং হলে শুধু শাসকদল নয়, আন্দোলনকারীদেরও স্বরূপ উদ্ঘাটিত হত যেটা না হওয়াতে হয়তো দু পক্ষেরই সুবিধা হয়েছে। তাঁরা কিন্তু জানা সত্ত্বেও আসল ঘাতক-ধর্ষকদের পরিচয়টাও প্রকাশ্যে আনছেন না, এমনকী সন্দেহভাজন হিসাবেও সেই নামগুলো শোনা যাচ্ছে না যারা ঘটনার পর থেকে নিরুদ্দেশ – শোনা যাচ্ছে কেউ বাংলাদেশে তো কেউ দুবাইয়ে। প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডেও বাংলাদেশ যোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। আবার ঘটনাচক্রে একটি রহস্যময় ফোন নম্বরও ঘটনার পর অতিসক্রিয় ছিল যার নম্বর দুবাইয়ের। সবই কি কাকতালীয় ও আমার কষ্টকল্পিত অনুমান?

পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল যাঁকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মিডিয়ার সামনে একের পর এক মিথ্যে বলতে দেখা গেছে, অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যার সক্রিয়তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, তাঁকে অপসারণের দাবী ছিল জুনিয়ার ডাক্তারদের। সঙ্গে ছিল স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবীও। কিন্তু স্বাস্থ্য সচিব যথাস্থানেই আছেন, দু একজনকে দপ্তরে অন্যত্র স্থানান্তর হয়েছে, আর পুলিস কমিশনারের কার্যত তাঁর ইপ্সিত চেয়ারে পদন্নোতি হয়েছে — রাজধানীর নগরপাল থেকে গোটা রাজ্যের সন্ত্রাস দমন শাখার অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল। কিন্তু ছোটো ডাক্তাররা সেটাকেই দারুণ সাফল্য বলে নাচগান করছেন, সিপি-কে নাকি তার পদ থেকে টেনে নামাতে পেরেছেন তাঁরা। অল্পে তুষ্ট হওয়া বড়ো গুণ, কিন্তু এই উদযাপন অনেক মানুষের মনেই প্রশ্ন সঞ্চার করছে, বিশৈষ করে যেখানে সব দুর্নীতি ও অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের পদত্যাগের দাবি একবারও ধ্বনিত হয়নি। বরং বিজেপি নেতাদের “দফা এক দাবী এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ” দাবীটি অসঙ্গত এবং তাঁদের আন্দোলনকে বিপথে চালিত করার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মনে হয়েছে। ডাক্তারদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত, কিন্তু দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।


আপাতত আমরা হাপিত্যেশ করে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে। প্রধান বিচারক ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অনেক অভিযোগ আছে। তবু কেরিয়ার শেষভাগে অবসরের আগে নিজের ভাবমূর্তি কিছুটা উদ্ধার করতে উদ্যোগী হবেন, সেই দুরাশায় বুক বাঁধা যাক।

এখনও ‘অভয়া কাণ্ড’-এর তদন্তই শেষ হয়নি। আইনি বিচার তো আরও দীর্ঘসূত্রী প্রক্রিয়া। উত্তর কোরিয়া বা আফগানিস্তান তো নয়, বিচারের নামে যখন খুশি যাকেতাকে লটকানো হল। চূড়ান্ত রায় আসতে দেরি আছে। সেই অপেক্ষায় থাকার পাশাপাশি দিকে নজর রাখতে হবে প্রতিবেশী দেশের কার্যকলাপেও। তবে রাষ্ট্রের সক্রিয়তা ছাড়া শুধু দেখাটাই সার হবে, বিপর্যয় আটকানো যাবে না। আর রাষ্ট্রের সদিচ্ছা কতটা, সেটাও এক মস্ত প্রশ্নচিহ্ন। 

বাঙালী হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন হতে করে দেওয়া যেমন ইসলামিক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের ঘোষিত উদ্দেশ্য, তেমনি তাদের নিশ্চিহ্ন হতে দেওয়াই যে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী রাষ্ট্রীয় স্বায়ংস্বেবক সঙ্ঘের সুপ্ত অ্যাজেন্ডা, সেটা যদি আজও কারও বুঝতে বাকি থাকে তো তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। নতুবা ভারতের ইন্টালিজেন্স এত অপদার্থ নয় যে পশ্চিমবঙ্গে ও তার সীমান্তে কী হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী জানবেন না। পশ্চিমবঙ্গবাসী ভোট দিয়েও তাঁর দলকে ক্ষমতায় আনতে পারছে না কেন, সেটাও রহস্য যেটা কেটে গেলেও মানুষ বিশ্বাস করতে চাইছে না। এই সর্বনাশা খেলা যে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্যও বিপজ্জনক হয়েছে, তার প্রমাণ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দলটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া। আর সেই সঙ্গে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতকে হারানোর ঝুঁকি তৈরি হওয়া।

এদিকে এরই মধ্যে আরেক সমাপতন। পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি যা সংকটময়, তাতে রাজ্য প্রশাসনের পরিকাঠামোগত ব্যর্থতা নিয়েই কথা ওঠার কথা। কিন্তু আমাদের অভয়া কাণ্ড থেকে মুখ ফেরানোর অবসর নেই। সেই সুযোগে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চুনকালি মাখা রাক্ষুসে মুখ জিইয়ে রাখা বন্যা সমস্যার জলে ধুয়ে সাফ করে দিব্যি মানবিক করে ফেলছেন। ডাক্তাররাও পরিস্থিতির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদের ঝাঁজ কমিয়ে সেই উওম্যানমেড বন্যায় দুর্গতদের সেবায় ঝাঁপিয়েছেন। সুতরাং প্রকট ও প্রতিবাদীর সংঘাত মধুরেণ সমাপয়েৎ। সবই কাকতালীয়!

 

Picture curtesy: 


https://wallpaperaccess.com/narendra-modi

https://www.telegraphindia.com/india/cm-mamata-banerjee-vows-to-stand-by-minorities/cid/1691262 

https://www.msn.com/en-in/lifestyle/smart-living/bangladesh-pm-hasina-distances-herself-from-nobel-laureate-yunus-sentencing-by-labour-court/ar-AA1mCZDq

Biplob Cholbe (Revolution Must Continue): a statement in solidarity with the student movement in Bangladesh – Mondoweiss

https://indianexpress.com/article/cities/kolkata/rg-kar-rape-murder-junior-doctors-call-off-strike-9577643/


Post a Comment

Previous Post Next Post