মালিকানা
নমিতা বসু
জীবন তোমার সাথে থাকতে গিয়ে------
হাঁটছি, হিসেবের খাতার মতো,
প্রথমে বাঁ দিক,পরে ডান দিক,
মাঝখানে সময়কে সাক্ষী রেখে আবার
ডান দিকের ভারসাম্যে এসে সমাপন স্থিতিতে ।
দেখতে দেখতে রাস্তার দু,'ধার ,হিমাচল থেকে বৈতরিনী পার ।
দেখছি, বস্তাপচা ঢেউ,লজ্জহীনা স্রোত,
মরা পচা গলা শরীরের অবশিষ্ট অস্তিত্ব,
যা আঠারো বছরের চোয়াল ভর্তি দাড়ি
সমাপ্তি বিষণ্ণতার আচ্ছাদনে ঢেকে,
সার্বিক নির্জনতার এক উল্লেখ যোগ্য প্যাকেজ।
শুনছি, হাইড্রেনের বুদবুদ শব্দ,ফিডিং বোতোলের চ্ঁ চ্ঁ বোকামি,
বিশাল,বিশাল পাথর গড়াতে গড়াতে কীর্তনিযার খোলে ধূর্জটি।
তালপাতার ভেপু,বনেদি বাড়ির দরজা খোলার আভিজত্যের পরাধীনতা ক্যাঁ---চ।
বুঝতে পারছি,ঘুম ভাঙা ঠোঁটের সাবলীলতাকে ।
যেখানে নেই কোনো আগুন পোড়া গন্ধ,
বিরত্বের এক পায়ের গোল, গড়াপেটা নির্বাহী অধিকার ।
শুনশান জ্যোৎস্নার নিরপেক্ষ হাতের মুঠোয় চিন্ময়ী অনুভূতি।
বলছি না তবুও, বাড়িটার নাম হতো একমুঠো বিশ্বাস।