রাতের দেউলে জাগে বিরহী তারা
তন্ময় ধর
অসংখ্য আয়নার মধ্যে কোনটি আসল,
তা বোঝার আগেই আমাদের প্রতিবিম্বে
রক্তাক্ত ছুরি ফেলে দিল কেউ। নির্বাসন থেকে আমরা দেখলাম, হত্যাকারী
ঈশ্বরের
চোখের অভিনয় ঠিক হচ্ছে না।
দৃশ্যের বাইরে থেকে উর্ণনাভদোষ এসে আটকে পড়েছে ছায়ানটের অন্ননালীতে। খিদের
ভেতরে অগণন পাখি জেগে আছে তোমার মেক-আপে। কিছুতেই রাত বাড়ছে না।
অতল সিঁড়িতে নেমেই চলেছে সেই স্মৃতিহীন ছুরির সংলাপ। ক্ষতচিহ্নে চমকে উঠে থেমে
গিয়েছে ঈশ্বরবিম্বের দু’টি পা। সুর আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঝরা ফুলে ভরা এই যে সমাধিতল
তন্ময় ধর
শূন্য অন্নপাত্রের ক্ষতচিহ্নে
সামান্য আলো লেগে ছিল। সেই আলোর সামনে নির্মম
অভিনয় আস্তে আস্তে চলে গেল ছায়াঠোঁটের বাইরে। প্রেমকে
অনেক বেশী ক্ষতবিক্ষত
করে ফেললাম আমরা। জগন্ময় কিছুতেই গাইতে পারলেন না। শূন্য রেকর্ড ঘুরে চলল।
জীবনের কয়েক টুকরো অন্ধত্ব থামতে চেয়েও থামতে পারল না। ঝরা ফুলের ওপরই
বৃষ্টি শুরু হল। আরও পরে অতিবৃষ্টি। পায়ের অসুখ ভিজিয়ে আমরা দ্রুত এগিয়ে গেলাম
দৃশ্যহীনতার দিকে। কিম্বা দীনতার দিকে।
সুর বদলে ফেলল আমাদের কথা এবং কথাহীনতা। রঙ বদলে ফেলল বেহিসাবী ফুল।