সাদা হাতি
বিপ্লব চক্রবর্তী
---- ছটফট করছ কেন এভাবে!
জয়িতা ঘুমের মধ্যে বলল।
------ছাদের দরজা বেঁধেছো! সৌমেন জিজ্ঞাসা
করল।
----বেঁধেছি
----ছাদে পায়জামাটা শুকোতে দিয়েছিলাম, সেটা তুলেছো?
----তুলেছি।
-----এই
শোন না, কাল লালশাকের শুক্তোটা করবে কিন্তু ।
--------ঠিক আছে। এখন ঘুমোবার চেষ্টা কর।
জয়িতা পাশ ফিরল।
---ভাবছি কাল আর একবার চেষ্টা
করব অফিসে যাওয়ার, তুমি কি বল?
-------তুমি ঘুমোবে,রাতদুপুরে তোমার সঙ্গে বকবক করতে পারবো না, দোহাই আমাকে একটু ঘুমোতে দাও।" জয়িতা মুখঝামটা দিয়ে উঠল।
সৌমেন নীরব হয়ে গেল। কথা বলার মুডটাই নষ্ট করে দিল জয়িতা। অগত্যা বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে লাগল। একে লকডাউনে ঘরে বসে থাকার অস্বস্তি, তার উপর নতুনকরে অফিস থেকে পাওয়া খবরটা , দুয়ে মিলে সৌমেন নাজেহাল। এক
সপ্তাহ থেকে তার চোখের ঘুম চলে গেছে। একটা আতঙ্ক ক্রমশঃই
তাকে ঘিরে ফেলছে। বুঝতে না দিলেও,
বিক্ষিপ্ত চলনটাতে পরিবারের
সকলের কাছে ধরা খেয়ে যাচ্ছে। ঘুম না
আসায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করল আরো কিছুক্ষণ।না, এভাবে শুয়ে থাকা যায়না। ঘুম আসবে না। পাশে ছটপট করতে করতে জয়িতার ঘুমটা নষ্ট করে লাভ নেই।
মশারিটা উঁচু করে নি:শব্দে খাট থেকে মেঝেতে
পা রাখল সৌমেন । অঘোরে ঘুমাচ্ছে জয়িতা। হালকা কম্বলটা তুলে জয়িতার কোমর পর্যন্ত টেনে দিয়েই নামল।
দরোজা খুলে বাইরে বারান্দায় এল। আলো জ্বালানো না। ফলে দেখা গেল না রাত কত হয়েছে। বারান্দায় গ্রীলের
সামনে এসে দাঁড়ালো।একটা ঠান্ডাবাতাস এসে গায়ে লাগল।শরীরটা
জুড়িয়ে উঠল। একটা রাতচড়া পাখি ডেকে উঠে উড়ে গেল। রাস্তার পোষ্টের এল ই ডি
আলোগুলোতে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। চরাচরে
একটা সাদা হাতি যেন অনন্তের কোনো দুঃসংবাদ দিতে সৌমেনের
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
গ্রীলের সামনে থেকে প্যাসেজ ধরে কিচেনের দিকে এগোলো। বাম পাশের ঘরে সুমেধা থাকত। গত
মাঘে ওর
বিয়ে হয়েছে মধ্যমগ্রামে।
ডান দিকের ঘরে সায়ন ঘুমায়। বন্ধ দরজার এপাশ থেকে সৌমেন বুঝতে পারছে ছেলে অঘোরে ঘুমাচ্ছে।। প্লেন বি এ পাশ। সে
ভাবে কিছুই জোটাতে
পারেনি। এখন বায়না তুলেছে ইরান না হয়
কুয়েত যাবে মজদুরি করতে। ডলার আয় করে বাড়িতে পাঠাবে।ছেলের ঘরের দিকে তাকিয়ে আর একটা চাপা যন্ত্রণা অনুভব করল।
কিচেনের সামনেটা
অনেকটা ফাঁকা।ওখান দিয়ে দোতলার সিঁড়িটা উঠেছে। রাতে বাথরুমে আসার জন্য সারারাত একটা আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয় এখানে। রাত বাড়লে আলোটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে।এই মুহুর্তে ছোট্ট আলোটা এতটাই তীব্র যে খাঁজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কুনোব্যাঙ
টাকেও পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। ওখানেই
ডাইনিং টেবিলটা বসানো।খুব শখ
করে মর্ডান ফার্ণিচার থেকে ইনষ্টলমেন্টে কেনা।টাকা শোধ হয়ে গেছে।পিসতুতো বড়দি আসলে মেঝেতে বসে খেতে পারেনা।তারকথা
মাথায় রেখে এটা কেনা।না হলে মেঝেতে বসে দিব্যি খাওয়াদাওয়া চলে যাচছিল।সঙ্গে একটা কমোডও বসিয়ে নিয়েছে।সেই বাবদ এখনো কিছুটাকার দেনা আছে সৌমেনের।তার উপর ছাদে ওঠার সিঁড়িটা করে রাখাই সার। এখনো জামা কাপড় পরাতে পারেনি।সিঁড়ির
ঢালাইটা ঢাকার অভাবে এবরো খেবরো হয়ে আছে। ভেবে রেখে দিয়েছে,
অবসরকালীন পাওয়া টাকায় সব কমপ্লিট করবে। পাম্প বসাবে। জলের একটা পাকা বন্দোবস্ত করে ফেলবে। মেঝেতে
হাঁটতে হাঁটতে আবোলতাবোল ভাবনা গুলোকে কিছুতেই তাড়াতে পারছেনা মাথা থেকে ।কপালের
দু পাশের শিড়া দুটো দপদপ করছে।
বাথরুমে ঢুকল। বেরিয়ে এল। ফ্রিজ খুলল।ভাল করে দেখল খাওয়ার মত কিছু আছে কিনা। না নেই। কাচা মাছ, রান্না
তরকারি, কয়েকটা
ডিম,একটা সসের বোতল,
আর কাচা সবজি ছাড়া ফ্রিজে কিছু নেই, এখন খাবার মত। ফ্রিজটা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। একবছর আগে এটা কেনা। দু’মাস হল
ইনষ্টলমেন্ট শেষ হয়েছে। মনে মনে বলছে সৌমেন,
এখন বলতে পারি এটা আমি কিনেছি। এটা আমার।
আবার সামনের বারান্দায় গ্রিলের
সামনে চলে এল। আবার পেছনে কিচেনের দিকে গেল। মাঝরাতে
মেঝেতে হাঁটাচলার শব্দ হতেই জয়িতার ঘুম ভেঙ্গে গেল।ঘুম ভাঙতেই বুঝতে পারল সৌমেন পাশে নেই। হাত বাড়িয়ে বেডসুইচ অন করতেই দেখল দরোজা খোলা। উদ্বেগে ডেকে উঠল,
তুমি কোথায়?
কিচেনের দিক থেকে সৌমেনের উত্তর এল, "ফ্রিজে তরমুজ রেখেছিলে না"
-------মাঝরাতে তরমুজ খাবে! হায় ভগবান।
-----খাবো ভাবছিলাম, ঘুম আসছে না, তাই ভাবছি ঠাণ্ডা তরমুজ খেলে কেমন হয়। ঘুম আসলেও আসতে পারে।
-----কটা বাজে দেখেছো, এখন কিছু খেওনা পেট গরম করবে।" জয়িতা ঘর
থেকে সাবধান করলো।
---আরে বাবা খাব না, জিজ্ঞেস করলাম।
----সায়ন খায়নি বলে ওরটাই ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।
--- দেখলাম
নাতো ফ্রিজে,
সৌমেন বলল।
----তুমি যাতে না
দেখতে পাও,সে ভাবেই রাখা আছে,
বলতে বলতে বিছানা ছেড়ে উঠে এল
জয়িতা।
---- তেল মাখিয়ে দিচ্ছি, মাথাটা
ধুয়ে নাও,
তাহলে ঘুম আসবে। জয়িতা বলল।
দুজনের কথাবার্তায় সায়নেরও
ঘুম ভেঙে গেল। বুঝতে পারল আজও বাবা ঘুমায় নি।সামনের জুনমাসে রিটায়ারমেন্ট। লকডাউন চলছে। অফিস যেতে পারছে না। অফিস থেকে বাবাকে এ্যসিস্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার
গতসপ্তাহে ফোন করে বলেছেন, "মেডিকেল লিভগুলোর অনেক কাগজ নেই। ফলে আপনার ফাইল এ জি
বেঙ্গল থেকে ফেরত এসেছে। লকডাউন উঠে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আপনি টেনশান করবেন না।" ফোন পেয়ে কয়েকবার চেষ্টা করেছিল
লকডাউনেও অফিসে গিয়ে এসিস্ট্যান্ট
ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করে আসবে। ফাইলটাকে রেডি করে আবার পাঠাবার চেষ্টা করবে।ট্রেনবন্ধ বলে যেতে পারেনি।গত তিন চার দিনে বারকয়েক সাইকেল নিয়ে ষ্টেশনে ঘুরে এসেছে। যদি স্পেশাল ট্রেন ছাড়ে।
জুন মাসে লকডাউনের মধ্যেই সৌমেনের অবসর। ছেলে এখনো কাঠবেকার। মেয়ের বিয়ের দেনা এখনো শোধ হয়নি। ভেবে ছিল,
অবসরকালীন প্রভিডেন্ট
ফান্ড আর
গ্রাচুয়িটির পাওয়া টাকা দিয়েই সব
শোধ করে ছেলের জন্য একটা কিছু করে দেবেন। বাইরে যাওয়ার ভুতটা ঘাড় থেকে নামিয়ে দেবেন।ফাইল- ই যদি রেডি না হয়.. .।
তারপর থেকে সারারাত ঘরে বারান্দায় পাইচারি
করে বেড়ান সৌমেন বাবু। মেয়ের মধ্যমগ্রাম বিয়ে হয়েছে। গত
পরশু দিন মেয়েও ফোন করে বলেছে,
----"তুমি এত টেনশন করছ কেন বাবা। তোমার জন্য এবার মা
অসুস্থ হয়ে পড়বে। তুমি কী বুঝতে পারছো না!"
---তোর মাকে বল
আমি ঠিক আছি, ।
----না তুমি ঠিক নেই, সমস্যাটাতো তোমার একার নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা।
----আমাকে নিয়ে তোর মাকে অযথা ভাবতে বারণ কর।
----তোমার কথায় মায়ের ভাবা বন্ধ হয় কখনো!
-----তাহলে আমি কী করব বলতে পারিস!বলতে বলতে মেয়ের কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল সৌমেন।
সুমেধাও ফোনের মধ্যে বাবার উত্তেজনা দেখে যা
যা বলবে ভেবে ফোন করেছিল কিছুই শেষ না
করে গলাটাকে নমনীয় করে বলেছিল,
--"সুগার আর প্রেশারটা একবার চেক করিয়ে নাও।"
সৌমেন প্রসঙ্গ ঘোরাতে
বলেছিল, "সুকল্যান কেমন আছে,তোর শ্বশুর শাশুড়ী?"
ফোন কাটার আগে সুমেধা মায়ের কাছে শোনার পর, নিজের উদ্বেগকে
প্রকাশ না
করে পারল না, "আমরা সবাই ভালো আছি। প্লিজ বাবা, তুমি একটু বোঝার চেষ্টা করো। এভাবে ভেঙ্গে পোড়ো না ।আমরা তোমাকে নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।মা দাদা তোমাকে নিয়ে টেনশান করছে।একটু বোঝার চেষ্টা করো। ইচ্ছে করলেও তোমার কাছে এইমুহুর্তে আমি যেতে পারছি না।"
ঘরের আলোটা নিভিয়ে দিল জয়িতা ।তারপর রাতপোশাকটাকে সুশৃঙ্খল
করে সৌমেনের পেছনে এসে দাঁড়ালো।ইচ্ছে করেই বারান্দার আলো জ্বালালো না।পেছন থেকে গভীর মমতায় সৌমেনকে জড়িয়ে ধরে বলল,"তোমার মাথাটা টিপে দিই,দেখবে ঘুম চলে আসবে।"
---আমার সেরকম কোনো সমস্যা হচ্ছে না,আসলে কিছুতেই ঘুম আসছে না।"
---"কী
এত চিন্তা করছো,আমাকে বল",---জয়িতা বলল।
-----বিক্ষিপ্ত সব পুরানো ভাবনাগলো
আগোছালো ভাবে আসছে।
----যেমন-
------আমাদের পাশের ঐ যে
ফাঁকা জায়গা,
ঐখানে একসময় মহাজন কাকুরা থাকত।কাকিমা মুরগী পুষতেন।একবার একটা মুরগী অসুস্থ হয়ে মরতে বসেছিল।কাকিমার অনুমতি
নিয়ে ওটাকে কেটে নিজের হাতে রান্না করে পাড়ার সবাইকে ছোট ছোট টুকরো খাইয়েছিলাম। সবাই রান্নার তারিফ করেছিল খেয়ে। অথচ এই প্রতিবেশীরা কোনোদিন
আমায় ডেকে তাদের রান্নাকরা কিছু খাওয়ায় নি।"
-----"মাঝরাতে এসব ভাবছো না
ঘুমিয়ে", জয়িতা মৃদুভাবে সহমত জানালো।
শুধু কী তাই,আর একটা কথা মনে পড়ছে। সৌমেন কথা বলার মজা পেয়ে গেল। বলল,---" জান আর একটা ঘটনাও মনে পড়ছে,শুনবে?"
জয়িতা ঘুমে চোখ জড়ানো অবস্থায় বলল,--"বলো শুনি" !
বিয়ের অনেক আগের ঘটনা," ফাইব ডায়মন্ড ক্লাবের মাঠে আমার অভিনয় দেখে কমরেড পল্টুদি আমাকে দেখা করতে বলেছিল। ছবি একদিন রাতে আমাকে নিয়ে গেল।দিদি আমাদের
চা খাওয়ালো,গল্প করলো। ছবি আমাকে যেভাবে বলেছিল তাতে ভেবেছিলাম রাতের খাবারেরও নিমন্ত্রণ আছে।বসেই আছি আমি আর ছবি,বলার মত
কথাও খুঁজে পাচ্ছি না। যখন ভুল ভাঙল রাত প্রায় এগারোটা। কী লজ্জা, কী লজ্জা। ছবিও বুঝতে পারেনি ওর বলাটায় আমি ভুল বুঝব।"
বলা শেষ করে একটা স্বগত হাসি দিল সৌমেন।
-------"এবার ঘুমোতে
চল। আমি মাথায় বিলি কেটে দেব," জয়িতা অনুরোধ
করল। সৌমেনকে তখন গল্পে পেয়ে বসেছে। বলল,
"আর একটা খুব ছোটোবেলার ঘটনা শোনো"
---বল,
জয়িতার সাপোর্ট
পেয়ে সৌমেন আবার শুরু করল,
---বারাসাত থেকে হেঁটে টাকিরোড ধরে কদম্বগাছি হাসপাতালে দাদার কোয়ার্টারে গেছি। পকেটে পয়সা নেই।সবে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।দাদাও কোথাও বেরিয়েছে।বৌদী ভাইপোকে
বলল,কাকুকে ফেরার জন্য পাঁচটা টাকা দে,আমি ডিউটি থেকে ঘরে ঢুকে তোকে দিয়ে দেব বলে, বৌদী হাসপাতালে ডিউটিতে ঢুকে গেল।ভাইপোকে টাকা দিতে হয়
পাছে ,নিমিষে
আমার ত্রিসীমানা থেকে উধাও হয়ে গেল। আমি বাধ্য হয়ে টাকিরোড ধরে বারাসাত ষ্টেশনে পুনরায় হেঁটে আসলাম।ষ্টেশনে
ঢুকতেই দেখি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।ওভারব্রীজ
দিয়ে রূদ্ধশ্বাসে প্ল্যাটফর্মে
নামতে নামতে ট্রেন স্পীড নিয়ে নিয়েছে। নেমে,ট্রেনের পিছু পিছু আমিও দৌড়াচ্ছি।প্ল্যাটফর্ম
যেখানে শেষ সেখানে স্লোপিং এ
নেমে সিগনাল পোষ্টের সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম।ট্রেন চলে গেল।আশপাসের
হকার দোকানদাররা চিৎকার
করতে করতে ছুটে এল।ওরা ভাবছিল
আমি কাটা পড়ে গেছি।তারপর থেকে বুঝেছি মৃত্যু এত সহজে আমার আসবে না।"জয়িতা প্রশ্ন করল," -----এসব কথা ভাবছ কেন কারণ ছাড়া।"
------- কোনদিন কোথাও এসব কথা বলিনি,শুধু তোমাকেই বলছি আমি,আমার এতসহজে কিছু হবেনা।আমার জীবনটাই নন-কোঅপারেশান দিয়ে শুরু। অযথা চিন্তা কোরোনা।"
বারান্দার
লাইটটা জ্বলে উঠল।সায়ন বাবামায়ের গলার আওয়াজ পেয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে এসেছে।বারান্দায় গ্রীলের বক্সের ওপরে সৌমেনের গল্প তখন জমে উঠেছে।হঠাৎ আলো জ্বলতেই,চোখটা জ্বলে উঠল।
-----"প্রতিদিন রাত্রে এ কি
শুরু করেছো তুমি।কাল ডাক্টারের কাছে তোমাকে নিয়ে যেতেই হবে"!
জয়িতা কিছু একটা বলতে যেতেই,সৌমেন থামিয়ে
দিয়ে বলল,
-----" ফাইলটা এ জি
বেঙ্গল থেকে ফেরত এসেছে।জুন মাসে রিটায়ার।পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছিস! একটা টাকাও পাবনা।তার উপর পেনশান চালু হবেনা।" তোর এখনো কিছু হলনা।সংসারটা
চালাবো কিভাবে!"
------সেটা কি এখানে বসে ভাবলেই সমাধান হবে?সময় দিতে হবে।"
তোরা বলছিস যখন চেষ্টা করছি মানসিক জোর রাখতে। সেভিংস থাকলে না হয়...
বলতে বলতে দেখল জয়িতা ঘুমের চোখে সৌমেনের গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল।
---- যাও না খাটে গিয়ে শুয়ে পড়। আমি যাচ্ছি।
জয়িতার নাকমুখ কুঁচকে একটা বিচ্ছিরি আওয়াজ বের হচ্ছে। সায়ন মুখের ওপর ঝুঁকে মা
মা ডাকতে শুরু করল। জয়িতা কোনরকমেই সাড়া দিচ্ছে না। সৌমেন দেখতে পেল সাদা হাতিটা আরো তীব্র চোখে জয়িতার
দিকে তাকিয়ে আছে।