হল্লাবোল
সুতপা ব্যানার্জী(রায়)
তিতিরের সন্ধানে কত কাব্যপিয়াসীর
নিঝুম সন্ধ্যা,
বারুদের শক্তি না খিদে কোনটা যুদ্ধকে দীর্ঘ করবে,
এক গভীর রাতে রসদ শেষের আত্মসমর্পণ,
সুফিয়ানায় আকাশ বাতাসের মুক্তি কাঁপছে,
কেউ কেউ বড্ড বেমানান চেনা স্রোতের ভিজে গতে,
অবতারের বর্তে দেওয়ার দিন শেষ,নাহলে ভ্রান্তি,
বিকেন্দ্রীকরণের বদলে এক কাঠামোয় ক্ষমতাবিলাস,
ইট,বালির মতো লাশও পণ্য, মগজে কাটাছেঁড়া,
যত পোড়ে তত উচ্ছ্বাসের বাঁধভাঙা টিআরপি,
মনুষ্যত্বের আপাত বিলাস ছেড়ে অর্ধেক অবয়ব,
তাই নিয়ে ধিক্কার, চিৎকার, সপ্রশংস
উল্লেখ,
এ ওর
বিরুদ্ধে জোলো যুক্তির জাল বুনছে,
শেষে খুশির হ্যান্ডশেকে পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়া,
বীরভোগ্যা বসুন্ধরা বীরের অভাবে প্রায় ধুঁকছে,
মেসিনগানের পেছনে অকারণ লয় ক্ষয় চলছে,
আশ্চর্য দুনিয়ার খোঁজে নবজাতকের আধোবোল,
ঝুরো ঝুরো প্রেমের আর্তি একটা আশ্রয় খোঁজে,
তিস্তায় উঠেছে প্রতিবেশীর কান্নার হল্লাবোল,
চাইলেও কোন সর্বজ্ঞানী ভালোবাসার পাত্র ভরায় না,
ওটা হাঘরে পৃথিবীর একান্ত আপন সম্পত্তি।