৫ই জানুয়ারি ২০২৫ দমদমের কাছে দুর্গানগরে "নিখিল ভারত বাঙ্গালী সমন্বয় সমিতি" একটি সভার আয়োজন করেছিল। আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন। সংগঠনটির আগে নাম ছিল নিখিল ভারত বাঙালী উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতি"। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে উৎপীড়নের ফলে উচ্ছিন্ন হিন্দু বাঙালীর ভারতে আশ্রয় ও নাগরিকত্ব লাভের প্রশ্নে জন্মলগ্ন থেকে লড়ে যাচ্ছে এই সমিতি, যার ফলে আসামে হিন্দু বাঙালীদের এনআরসি তালিকার বাইরে ও বিদেশী দাগিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে দিনের পর দিন বন্দী রাখার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আসাম সরকারের বিরাগভাজন হয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে আসু অফিসের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগে সংগঠনটিকে আসামের তৎকালীন বিজেপি সরকার নিষিদ্ধ করে এবং সভাপতি সুবোধ বিশ্বাসকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে ১৮ মাস বন্দী করে রাখে। ২০২০ তে বর্তমান নামে সেটি একই লক্ষ্যে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে।
৫ই জানুয়ারি সভাতে এসেছিলেন দেশবিদেশ থেকে আক্রান্ত বাঙালীর প্রতিনিধিরা এবং সেই সঙ্গে সরাসরি প্রভাবিত না হয়েও যাঁরা সমব্যথী ও সহমর্মী এমন কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। কানাডা থেকে আগত অরুণ কুমার দত্ত তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের প্রশ্রয়ে সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর যে নারকীয় সাম্প্রদায়িক হিংসা আছড়ে পড়েছে, সারাবিশ্বে তার নিন্দা ধ্বনিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে আমেরিকার হোয়াইহাউস মুখরিত হয়েছে নিন্দায়, অথচ ভারতীয় সংসদভবনে বিষয়টিকে নিয়ে সামান্যতম আলোচনা নেই।
সভাপতি ডাঃ সুবোধ বিশ্বাস জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে শুধু আসাম নয়, বাঙালী নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত অন্যান্য রাজ্যেও। নিখিল ভারত বাঙ্গালী উদ্বাস্তু সমিতি টানা সংগ্রাম করে বহু বাঙালীকে জমির পাট্টা পেতে সাহায্য করেছে। বাঙালীর স্বার্থ দেখতে গিয়ে শিলাপাথারে আসুর দপ্তরে অগ্নিসংযোগের মিথ্যে অভিযোগে তিনি নিজে আসামের জেলে বন্দী ছিলেন দেড় বছর। আসাম পুলিশ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল নিখিল ভারত বাঙ্গালী সমন্বয় সমিতির অতীত অর্জন ও বর্তমান সংগ্রামের পাশাপাশি ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন যেগুলো ক্ষোভ অভিমান ও হতাশার সংমিশ্রণ বলা যায়। তিনি দাবি জানালেন বাংলাদেশের রংপুর, চট্টগ্রাম ও যশোহর-খুলনা ডিভিশনে সনাতনী বাঙালীর নিরাপদ হোমল্যান্ড গঠিত হোক, যার জন্য ভারত সরকারের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
আমার বক্তব্যে ছিল ইতিহাস থেকে বর্তমানের পর্যালোচনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ। বললাম একটি সমৃদ্ধ জাতি, ভারতের সমাজ সংস্কার থেকে স্বাধীনতা সবকিছুতেই যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান, তাদের বৃহত্তর অংশ দেশভাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মাসুল চোকাতে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, আর তারই পরিণতিতে ভারতবর্ষের অন্যতম সমৃদ্ধ জাতিটি আজ দয়াকাঙ্ক্ষী উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। মাস্টারদা সূর্য সেন বা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদাররা প্রাণ দিয়েছিলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ গঠনের জন্য নয়। অথচ তাঁদের চট্টগ্রাম ১৯৪৭ থেকে পাকিস্তান আর ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশের অংশ। ফলাফল আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এমন প্রচণ্ড উৎপীড়নের শিকার যে ভারতকে ২০১৯-এ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনতে হয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশের বাঙালী হিন্দুদের কথা ভেবে। বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়ন একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, কিন্তু আগে এই বাংলায় প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়নি, এখন একটু হলেও হচ্ছে। ২০২১-এ দুর্গাপুজোর সময় একটি দুর্গামণ্ডপে হনুমানের কোলে কোরান আবিষ্কার করার সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশেজুড়েই, তার পরেও ভারতের কোথাও এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও নিন্দা-প্রতিবাদ তো দূর, এতটুকু আলোচনাও হয়নি। এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ আনার পরেও তা বাঙালী শরণার্থীদের অনুকূলে প্রযুক্ত হচ্ছে না। ভারত সরকারের ভূমিকা খুবই বিচিত্র, অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত। হিন্দুরা যেখানে নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে, তখন আরাকান সেনা বাংলাদেশকে কতটা নাস্তানাবুদ করছে, পাকিস্তান কীভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে, অথবা রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে কী কী করতে পারেন -- ইত্যাদির বিশ্লেষণের চেয়ে অনেকবেশি জরুরি ভারত সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের কাছে হিন্দু বাঙালীর কিছু আশা করার নেই, শুধু আশঙ্কা করার আছে। পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র হিসাবে সৃষ্ট না হলে যারা ভারতের স্বাধীনতা লাভেরই বিরোধী ছিল, সেই বাম জোটের কাছেও সদর্থক কিছু আশা করার নেই সবাই জানে। কিন্তু যে দলটি হিন্দুত্বের কথা বলে, সেই দল ভারতের কেন্দ্র সরকারে ক্ষমতাসীন থাকতেও কেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে এই দেশের মধ্যেও বাঙালীর অস্তিত্ব হারানোর উপক্রম হবে?
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্যেও ভারতের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ পেয়েছিল, কিন্তু এই বক্তৃতার পর একটি জনপ্রিয় দৈনিকের জনৈক বার্তা সম্পাদক রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বাঙালীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে সমাজ সংস্কারক রামমোহন ও বিদ্যাসাগর মশাইদের স্মরণ করাকে আনন্দবাজারীয় আদর্শ বলে তীব্র আক্রমণ করে প্রশ্ন তোলেন, শ্রদ্ধেয় গুরুচাঁদ ঠাকুরের অবদান কেন স্মরণ করা হল না। রামমোহন বিদ্যাসাগরদের তিনি ব্রিটিশের দালালি করে পলাতক ও হিন্দুত্ববিরোধী বলেও চিহ্নিত করেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হয়ে অস্ত্র ধরে বোঝানোর চেষ্টা করলেন পররাষ্ট্র নীতি অত সহজ নয় এবং ভারত সরকার মোটেই নিষ্ক্রিয় নেই, প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়ে মহম্মদ ইউনূসকে নিন্দা করেছেন।
মতুয়া সমাজে গুরুচাঁদ ঠাকুরের অবদান নিয়ে আলোচনা সত্যিই কাম্য, কিন্তু এই কঠিন সময়ে হিন্দুত্বের নামে এবং জাতপাতের বিভাজন মাথায় রেখে বাঙালীকে যদি বাঙালীর প্রাতঃস্মরণীয় আইকনদের প্রতি এভাবে বিরূপ এমনকি প্রবল অশ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো হয় নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও নারীবিদ্বেষী ব্যক্তি আক্রমণের ঝোঁকে, তাহলে কিন্তু বাঙালী সমন্বয়ের চেষ্টা সার্থক হওয়া দুঃসাধ্য শুধু নয়, একেবারেই অসম্ভব। আরএসএস-এর নীতিগত অবস্থানে বাঙালী ও নারী দুটোই ভীষণ প্রশ্নবোধক তাচ্ছিল্যের, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে অধুনার বাঙালী যুবসমাজে। তার ওপর যদি বাঙালীত্ব জাতপাতের আবেগেও বিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে হিন্দু বাঙালীবিদ্বেষীদের কাজটাই অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীর সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করে বর্তমান পরিস্থিতি একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।
মোদী-ভক্তরা এতদিন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ তো ছিলই, এখন রাতারাতি কূটনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, তথা ভূরাজনীতি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে। বর্তমান ভারত সরকারের নিষ্ঠুর নিস্পৃহতার সাফাই গাইতে গিয়ে আরাকান সেনার বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করা নিয়ে তো নাচছেই, এমনকি পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বলে তালিবানের উত্থানেও উচ্ছ্বাসিত।
আরাকানরা চট্টগ্রাম দখল করে নিলে ভারতের কোন পরমার্থ সাধিত হবে কে জানে? সেখানকার বৌদ্ধদের ওপর রাষ্ট্রীয় অত্যাচার অফিসিয়ালি হয়তো কমতে পারে, কিন্তু হিন্দুদের সুরক্ষা কি নিশ্চিত হবে? আর বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের কথা যদি নাও ভাবতে চায় ভারতের দেশভক্তের দল, তাহলেও প্রশ্ন: ভারতের কতটুকু উপকার হবে? সাত বোন ও পশ্চিমবঙ্গ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? আদিতে ভারতীয় এই ভূমি যে ভারতে ফিরে আসছে না বা স্বাধীনও হচ্ছে না, তা তো দিবালোকের মতো পরিষ্কার। আবার ওদিকে পাকিস্তানের কিয়দংশ আফগানিস্তানের তালিবানরা দখল করে নিলে তাতেই বা কোন স্বর্গলাভ হবে? তালিবান শাসনে আফগানিস্তান তো নিজেই সাক্ষাৎ নরক।
এরা যে লাফাচ্ছে ভারত কিছুই করবে না, শুধু কূটনৈতিক চালে কিস্তিমাত করে দেবে, কিন্তু শত্রুর শত্রু হলেই কি কিছু নিকৃষ্টতম শক্তিকে বন্ধু ভাবা যায়? বরং কূটনীতি বলে এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই সংস্কার করতে হয়, আর সুযোগ বারবার আসে না।
তালিবান শাসনে মেয়েদের কণ্ঠস্বর বাইরে শ্রবণযোগ্য হওয়া নিষিদ্ধ, মানে পাশের বাড়ির মেয়েদের সঙ্গেও তারা কথা বলতে পারবে না। নতুন ফতোয়া বলছে, মেয়েদের জানলার সামনে দাঁড়ানোও মানা, তেমন হলে জানলা রাখাই চলবে না। ফতোয়ারাজ শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও গোপালগঞ্জ যার অন্যতম উদাহরণ। এইরকম সুশীল প্রতিবেশ থেকে অবাধ অনুপ্রবেশে প্রশাসনিক মদতের পথ বেয়েই বিগত কয়েক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গ নারী মৃগয়া ও অন্যান্য অপরাধের মুক্তাঞ্চল যার বলি অসংখ্য তিলোত্তমা ছোট্ট উমারা, সেটা কি ভারতের দুর্দান্ত ভুরাজনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ?
আসলে আমাদের চিনতে চিনতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ২০১৯-এ "ক্যাক্যা ছিছি" আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গে টানা প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে আগুন জ্বলেছিল। রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি ইতিউতি উঠলেও কেন্দ্র কিছুই করল না দেখে ভক্তরা বলেছিল তাতে নাকি বিপক্ষরা রাজনৈতিক সুবিধা পেয়ে যেত। আজ দেখা যাচ্ছে, এই রাজ্যে প্রতিপক্ষকে আগামী অর্ধ্বশতকের জন্য লীজ় দিয়ে বিজেপি নিজের রাজ্যের নেতাদের কার্যত ভাঁড়ে পরিণত করেছে। ২০২১-এ পুজোর সময় বাংলাদেশে যা হয়েছিল, ভারত সরকার তাকে নিন্দাটুকু না জানিয়ে উপহার উপঢৌকনে বেইমানদের ভরিয়ে দিয়েছিল বলেই পশ্চিমবঙ্গেও মণ্ডপ প্রতিমা ভাঙচুর করার সাহস জন্মেছে সেই অপশক্তির। তখনই ভারী বিচিত্র লেগেছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা। কিন্তু কিছু অতি পাকা বাঙালী বাণিজ্যিক কূটনীতি বুঝিয়ে বাংলাদেশকে তোয়াজ করার পক্ষে সাফাই গেয়েছিল।
উপমহাদেশে যে ঘোর তমসা নেমে এসেছে, ভারতের হিরণ্ময় নীরবতা যে সেটাকেই পরিপুষ্ট করছে, তা কি টের পাচ্ছে না এইসব পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা, নাকি কসাইখানার সামনে বাঁধা খাসিগুলোর মতো নিজেদের নিয়তির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঢুঁসোঢুসি খেলে নিচ্ছে?
বছরের শেষে তো লাফালাফি করে অনেক ইউটোপিয়া বেচে লক্ষ লক্ষ লাইক শেয়ার সাবসক্রিপশন কামালেন, বছরের শুরুতে কি একটু তলিয়ে ভাববেন?
চিকেন নেকের কাছে বাংলাদেশের সেনা ছাউনি, মহড়া, সরাসরি রণহুংকার এবং বাস্তবিক বিএসএফ পেটানো চলছে। সাধারণ মানুষ শোনা যাচ্ছে বাঁচার তাগিদে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, কিন্তু ভারতের তরফ থেকে সেনা সক্রিয়তা নেই। আমাদের সুপার পাওয়ার দেশ কিন্তু আঙুলই চুষছে। পশ্চিমবঙ্গের জমি কি ইচ্ছা করেই বেহাত করতে চাইছে ভারত সুপার পাওয়ার সরকার?
যে দেশে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশীদের আধার কার্ড হয়ে যায়, পঞ্চাশ হাজার খরচ করলে বিদেশী জঙ্গিরা ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত পেয়ে যায়, আর অসহায় শরণার্থী থেকে ভূমিসন্তানদেরকেও জাতধর্ম দেখে ডিটেনশন ক্যাম্পে পচানো হয়, সে দেশে কিছুই বিচিত্র নয়।
২০২১-এর নীরবতাই আভাস দিয়েছিল, কিন্তু ভক্তরা বুঝতে চায়নি। আজকেও মিথ্যে আশাবাদের প্রহেলিকায় ভোলাতে চাইছে। দেশভক্ত ইউটিউবাররা ফেব্রুয়ারিতে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ফ্রান্স যাত্রার সংবাদ দিয়ে এমন ভাব করছে, যেন ভারত বিনা যুদ্ধে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করে বিশ্বজয় করে ফেলল। এমন নয়তো, আসলে যা হতে চলেছে, তা আমার ডিসটোপিয়ার চেয়েও ভয়ংকর? বাংলাদেশে এই মৌলবাদী অভ্যুত্থানের নেপথ্যে কি পশ্চিম এশিয়ার ইসলামিক শক্তি ছাড়া শুধু বাইডেন সরকারেরই মদত ছিল? নাকি এটা দেশ বিক্রির বেওসা, ঠিক যেমন ইডি সিবিআই তদন্ত শুধুমাত্র কাটমানির ভাগ আদায়ের পন্থা?
সাত বোনের দখল ওরা সহজে নিতে পারবে না, কারণ আসাম, ত্রিপুরা ও মণিপুর সরকার মেনে নেবে না; নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় ও অরুণাচলের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব থাকলেও অন্তত বাংলাদেশের অধীনে তো যেতে চাইবেই না; কিন্তু এই ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে একটি হতভাগ্য রাজ্যের সরকার। সেখানকার কিছু বিচিত্র প্রাণী এখনও এতকিছু দেখেও দুই বাংলা এক করার স্বপ্নে বিভোর! এই অশুভ চেষ্টাই যেন সাফল্যের দোরগোড়ায়।