ভাত
সঙ্কর্ষণ
আজকাল ভাতের গন্ধে বমি আসে আমার।
নেশাচ্ছন্ন নোংরার স্তূপ সেজে
একটা খোলা হাইড্রেনের পাশে উল্টে পড়ে থাকি।
পচা মাছের কানকো টিপে বেরোনো রসের মতো
নালাতে ভাতের ফ্যান বয়ে চলে যায়,
বহুদিনের বেরিয়ে পড়া জিভে বিদ্রূপ উঁকি মারে।
কোলাহল অনেক...
তবু অনেক স্তব্ধতা।
রাতজাগা স্বপ্নের ঘোরে চাঁদের কলঙ্ক দেখি।
অমাবস্যার রাতে কলঙ্কগুলো চাঁদকে গিলে খেয়ে নেয়।
আমি অন্ধকারে সাল-তারিখের ভুলভাল
হিসেব সাজাই
আর ভাবি,
"পূর্ণিমাগুলো আসেনা কেন রোজ? "
থালার মতো চাঁদে আমি রুটি দেখতে চাইনা...
চাঁদ মেখে রোমকূপে জন্ম নিক ক্ষোভ।
আঙুলের ডগা বেয়ে প্রতিহিংসা নেমে আসুক
শিরায় শিরায়...
হিংস্র শ্বাপদের মতো
ধারালো দাঁতে টুঁটি ছিড়ে নিই তাদের কবিতাযাপনের,
যারা প্রতি গ্রাসে ভাতের সাথে গিলে খায় চাঁদ,
বিবর জমিনে যারা রাত চষে রোজ।
কিন্তু করা হয়না।
একইভাবে সেই নির্জীব একটা প্রাণ,
বিশাল বড়ো একটা নালার ধারে
চেনাজানা আঁধারটাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে।
চতুষ্পদী কবির ঊর্ধ্বমুখী প্রার্থনা শুনে
আর কাঁটাও হয়না কেউ,
জোছনার মতো নিশ্চিন্তভাবে ঘুমিয়ে থাকে সবাই।