বাথরুমে খবরের কাগজ
প্রদীপ দে
-- প্রদীপদা
আপনি কি
বাথরুমে গেছিলেন?
-- না তো ……
-- তাহলে খবরের কাগজটা এখানে এলো কি
করে?
-- খবরের কাগজ?
-- হ্যাঁ। গতকালের। আমি পড়ে টেবিলে রেখে গেছিলাম।
-- কিন্তু
আজকের কাগজ তো পাইনি।
-- না আজ দেয়নি। গতকালের কাগজ বাথরুমে কি করে গেল?
কথাগুলো বলে রীতিমতো উত্তেজিত হচ্ছিল লাইব্রেরীয়ান সোমনাথ রায়।
আমি লাইব্রেরীতে
বসে একটু নিভৃতে পড়াশোনা করছিলাম। আমাকে অন্যমনস্ক করে দিল। আমি তাও গুরুত্বহীন করে ব্যাপারটা তাচ্ছিল্যের সাথে উত্তর দিলাম,
-- ইঁদুরে
টেনে নিয়ে গেছে বোধহয়।
-- সে কি? ইঁদুর আছে নাকি?না না ইঁদুর ফিঁদুর নেই। আমি বিষ দিই না?তাহলে তো
বইসব কেটে দিত?আর ইঁদুর কি করে গোটা কাগজ বাথরুমে টেনে নিয়ে যাবে?
সোমনাথদার মুখে ভীতির সঞ্চার লক্ষ্য করেছিলাম।
লাইব্রেরী থেকে বেড়িয়ে বাড়ির পথে হাঁটছি … উজ্জয়িনীর সাথে দেখা,
-- কি লাইব্রেরী থেকে ফিরছেন?
-- হ্যাঁ হ্যাঁ, কি ব্যাপার আপনি আসছেন না কেন?
-- না এবার যাবো,
ওই যে
রমাকান্তবাবু মারা গেলেন না? আমি ওনার পরিবারেরর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকায় একটু আটকে গেছিলাম।
-- সেকি? উনি মারা গেছেন? উনিতো লাইব্রেরীর
বই আর
খবরের কাগজের পোকা ছিলেন! কি করে মারা গেলেন? তাই ওনাকে আর দেখছি না।
-- উনি তো পেটের গন্ডগোলেই ভুগতেন। পায়খানা
করে করেই মারা গেলেন!
আমি পা চালিয়ে দিলাম। অন্ধকার গলিতে গা ছমছম করে এল। রাতে সোমনাথদাকে খবরটা দিতে গিয়েও দিতে পারিনি।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি পত্রিকার পরিচালকদের এবং সকল কলম বন্ধুদের।
ReplyDelete